বৃষ্টিপাত আর পাহাড়ি ঢলে নীলফামারীর ডিমলায় আবারও বিপৎসীমা ছাড়িয়েছে তিস্তা নদীর পানি। এ কারণে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে উপজেলার প্রায় ১০টি চরাঞ্চলের মানুষ। তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ব্যারাজের ৪৪টি জলকপাট খুলে দেওয়ায় দ্রুত এই পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ১৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে পানি। ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র সূত্র বলছে, উজানের ঢল ও ভারী বর্ষণে বুধবার দিবাগত রাত থেকে তিস্তা নদীর পানি বাড়তে শুরু করে। আজ সকাল ৯টায় তিস্তার ডালিয়া ব্যারাজ পয়েন্টে নদীর পানির প্রবাহ রেকর্ড করা হয় ৫২ দশমিক ৩৪ সেন্টিমিটার, যা বিপৎসীমার ১৯ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়।
উপজেলার খালিশা চাঁপানী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শহীদুজ্জামান সরকার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘তিস্তার পানি বাড়ার কারণে ইউনিয়নের ছোটখাতা ও বাইশপুকুর গ্রামের প্রায় ৬০০ পরিবার বন্যাকবলিত হয়ে পড়েছে। পরিবারগুলো পানিবন্দী হয়ে পড়ায় উপজেলা প্রশাসনের নির্দেশনা অনুযায়ী নিরাপদ আশ্রয়ে সরে আসতে বলা হচ্ছে।’
ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আসফা-উদ-দৌলা বলেন, ‘উজানে ভারী বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে তিস্তার পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এই মৌসুমে ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানি সর্বোচ্চ বিপৎসীমা অতিক্রম করল। তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ব্যারাজের ৪৪টি জলকপাট খুলে দেওয়ায় দ্রুত এই পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে। এ ছাড়া পানি বাড়ার কারণে সতর্কাবস্থায় রয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।’