দিনাজপুরের হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্টের সার্ভার বিকল হওয়ায় দুর্ভোগে পড়েছেন ভারত-বাংলাদেশের মাঝে যাতায়াতকারী যাত্রীরা। ম্যানুয়ালি পাসপোর্ট এন্ট্রি কার্যক্রম চলছে। এতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হচ্ছে যাত্রীদের।
বৃহস্পতিবার (৩০ মার্চ) দুপুরে হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে সার্ভারের এই সমস্যা দেখা দেয়। এতে বন্ধ হয়ে যায় দুদেশের মাঝে যাত্রী পারাপার কার্যক্রম। পরে ম্যানুয়ালি পাসপোর্ট এন্ট্রি কার্যক্রম শুরু হয়। শুক্রবারও একই অবস্থা। সার্ভার সচল হয়নি এখনও।
ভারতে যাওয়ার জন্য ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে অপেক্ষারত যাত্রী পুষ্পা রানী বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘ভারতে যাওয়ার জন্য সকাল ১০টায় হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে এসেছি। দুপুর হলেও এখন পর্যন্ত যেতে পারিনি। এখানে নাকি তাদের সার্ভার নষ্ট হয়ে গেছে। এতে যারা ভারত থেকে দেশে ফিরছে বা বাংলাদেশ থেকে ভারতে যাওয়ার জন্য ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে এসেছে কেউ যেতে পারছে না। বেশ কিছুক্ষণ পর আমাদের লাইনে দাঁড়াতে বলেছে। কয়েক ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থাকার পরেও কর্তৃপক্ষ কিছু বলছে না। কতক্ষণ অপেক্ষা করতে কিছুই জানাচ্ছে না তারা।’
আলম হোসেন নামে এক যাত্রী বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমি ভারতের ভেলোরে চিকিৎসা করতে যাবো। এজন্য ভারতে ট্রেনের টিকিট কেটেও নিয়েছি। আজ ভারতে যাওয়ার জন্য চেকপোস্টে এসেছি। কিন্তু এসে শুনি তাদের সার্ভার নষ্ট। যার কারণে সকালবেলা এসেও যেতে পারছি না। একটু আগে টোকেন দিয়ে বললো সিরিয়াল অনুযায়ী ডাকা হবে। কিন্তু কখন ডাকবে আর কখন কার্যক্রম শুরু হবে আর কখন যেতে পারবো সেই নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়ে গেছি।’
দেশে ফেরা যাত্রী মেহেদুল ইসলাম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘ভারত থেকে চিকিৎসা শেষে দুপুর ২টার দিকে দেশে প্রবেশ করি। কিন্তু সার্ভার সমস্যার কারণে আমার পাসপোর্ট এন্ট্রিসহ কোনও কার্যক্রম করতে পারছি না। অসুস্থ অবস্থায় অনেক দূর জার্নি করে এসে এখানে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হচ্ছে।’
হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্টের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ আশরাফুল বলেন, ‘সার্ভার আপডেট করার কারণে বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা থেকে সমস্যার সৃষ্টি হয়। যার কারণে সাময়িক সময়ের জন্য ইমিগ্রেশন কার্যক্রম বন্ধ ছিল। পরে ম্যানুয়ালি লোকাল সার্ভারের মাধ্যমে পাসপোর্ট এন্ট্রির মধ্য দিয়ে ইমিগ্রেশন কার্যক্রম শুরু করা হয়। শুক্রবারও ম্যানুয়ালি কাজ চলছে। তবে এটা খুব ধীরগতিতে চলছে। সার্ভার আপডেটের কাজ শেষ হলে ইমিগ্রেশন কার্যক্রমে আবারও গতিশীলতা ফিরে আসবে।’