দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলায় ইমরান হোসেন নামে কথিত এক জিনের বাদশাকে আটক করেছে র্যাব। কলসিভর্তি সোনাদানা ও গুপ্তধন পাইয়ে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন ইমরান।
শনিবার সন্ধ্যায় উপজেলার হাটপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করেন র্যাব-৫ এর সদস্যরা। আটককৃত ইমরান হোসেন একই এলাকার আক্তার নবাব খানের ছেলে।
র্যাব-৫, সিপিসি-৩ এর কোম্পানি কমান্ডার মেজর মোস্তফা জামান জানান, জয়পুরহাট জেলা সদরের সাজ্জাদুল ইসলাম এক মাস আগে কথিত জিনের বাদশা ইমরান কবিরাজের কাছে চিকিৎসা নিতে যান। এ সময় ইমরান জিনের মাধ্যমে চিকিৎসা দিয়ে রোগ নিরাময় ও অনেক ধনসম্পদ, গুপ্তধন পাইয়ে দেবে বলে আশ্বাস দেন। এ জন্য তাকে পাঁচ লাখ টাকা অগ্রিম দিতে বলা হয়।
তিনি আরো জানান, এরপর ভুক্তভোগী ঐ কবিরাজকে তিন লাখ টাকা দিয়ে গুপ্তধন পাওয়ার পর আরো দুই লাখ টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। টাকা নেয়ার পর কবিরাজ তার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। ভুক্তভোগী জয়পুরহাট র্যাব ক্যাম্পে অভিযোগ করলে তথ্যপ্রযুক্তির সাহায্যে ঐ কবিরাজের অবস্থান শনাক্ত করা হয়। শনিবার অভিযান চালিয়ে ইমরানকে প্রতারণার বিভিন্ন উপকরণসহ আটক করা হয়। দেশের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষের কাছ থেকে বিকাশ, নগদ ও অন্যান্য মাধ্যমে জিনের কলসিভর্তি সোনাদানা দেওয়ার নামে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন বলে স্বীকার করেছেন ইমরান হোসেন। তার বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা দায়েরের পর ঘোড়াঘাট থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।