গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় একটি ব্রিজ ও চার কিলোমিটার পাঁকা রাস্তার অভাবে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন ১৫ গ্রামের বাসিন্দারা। শুকনো মৌসুমে ধুলোবালি আর বর্ষায় কাঁদা রাস্তায় কষ্ট করে চলতে হচ্ছে তাদের। বিভিন্ন সময় জনপ্রতিনিধিরা প্রতিশ্রুতি দিলেও কেউ উদ্যোগ নেয়নি বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। অন্যদিকে জনগণের দুর্ভোগের কথা জানিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন জেলার এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী। সরেজমিনে দেখা যায়, সামান্য বৃষ্টিতে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জের তারাপুর ইউনিয়নের চৈতন্য বাজার থেকে লাটশালা পর্যন্ত ৪ কিলোমিটার সড়ক। সামান্য বৃষ্টি হলেই ওই সড়কের অধিকাংশ জায়গায় সৃষ্টি হয় বড় বড় খানাখন্দের। পানি জমে থাকায় ও কাঁদার কারণে ওই সড়কে যানবাহনে চলাচল না করা যায় না। পায়ে হেঁটেই যোগাযোগ করতে হয় স্থানীয়দের। শুকনো মৌসুমে ধুলায় বাড়ে চলাচলে দুর্ভোগ। স্থানীয়রা জানান, দীর্ঘদিন ধরে ঝুঁকিপূর্ণ কাঠের ব্রিজ দিয়ে আমাদের চলাচল করতে হচ্ছে। দুই পাড়ের উৎপাদিত কৃষি পণ্য, ছয়টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরাও চলাচল করছেন আতঙ্কে নিয়ে। ব্যস্ততম এ সড়কটি পাঁকাকরণ ও একটি ব্রিজের দাবি করলেও শুধু প্রতিশ্রুতি মিলেছে বলে অভিযোগ তাদের।
স্থানীয়দের দুর্ভোগের বিষয়ে গাইবান্ধা এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌলশী মো. সাবিউল ইসলাম জানান, গুরুত্বপূর্ণ সড়কটিতে চলাচলে জনগণের দুর্ভোগ হচ্ছে। দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে। রংপুরের পীরগাছার দুইটি ইউনিয়ন, কুড়িগ্রামের উলিপুরের দুইটি ইউনিয়নসহ সুন্দরগঞ্জের ১৫ গ্রামের মানুষের উপজেলা ও গাইবান্ধা জেলা সদরের সঙ্গে যোগাযোগের একমাত্র সড়ক এটি।