‘অংপুরে (রংপুরে) শেখের বেটি হাসিনা আসবে। তার কাছোত হামার দাবি (তার কাছে আমার দাবি) একটাই, তিস্তা নদীর বান্দোন (বাঁধ) চাই। এই বান্দোন হইলে জমি ফিরি পামো (পাবো)। ঘরবাড়ি কইরা থাকমু। আংগোর (আমাদের) খুব উপকার হইবো। আগের মতো সুখোত (সুখে) থাকমো (থাকবো)।’
এভাবেই কথাগুলো বলছিলেন তিস্তাপাড়ের বাসিন্দা জোহরা (৪৫) ও হাজেরা বেওয়া (৫০)। লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার নিজ গড্ডিমারী গ্রামের অসহায় হাজরা বেওয়া। স্বামী সোলেমান গণি ১০ বছর আগে মারা গেছেন। সেই থেকে হাজেরা বেওয়া সন্তানদের নিয়ে তিস্তার বাঁধের রাস্তায় আশ্রয় নিয়ে আছেন। একসময় সবই ছিল তাদের। তিস্তার করাল গ্রাসে একে একে ছয়বার ঘরবাড়ি ভেঙে যাওয়ায় নিঃস্ব হয়ে গেছে পরিবারটি।
‘শেখের বেটির কাছে তিস্তা নদীর বান্দোন চাই’
