ঝালকাঠির রাজাপুরে নিজ ঘর থেকে কেয়া মনি (১৪) নামের এক মাদ্রাসাছত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উপজেলার বড়ইয়া ইউনিয়নের চল্লিশ কাহনিয়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত কেয়ার মায়ের দাবি মিজান নামের এক যুবক রাস্তায় কেয়ার হাত ধরে টান দেওয়ায় লজ্জায় সে আত্মহত্যা করে থাকতে পারে।
ঘটনাটি রহস্যজনক মনে হওয়ায় আজ বুধবার নিহত কেয়ার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঝালকাঠি মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। নিহত কেয়া এলাকার আব্দুল মজিদ খানের বড় মেয়ে ও চল্লিশ কাহনিয়া দাখিল মাদ্রাসার নবম শ্রেণির ছাত্রী। পুলিশ ও নিহতের মা নাসিমা বেগম জানান, গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে ছোট মেয়ে মৌয়রী আক্তারকে সঙ্গে নিয়ে তার উপ-বৃত্তির টাকা তুলতে বাড়ির পাশের দোকানে যান নাসিমা বেগম। এ সময় তার বড় মেয়ে কেয়া মনি বাড়িতে একাই ছিল। টাকা তুলে দোকান থেকে বাড়ি ফিরে বসতঘরের দরজা-জানালা বন্ধ পান তারা। এ সময় কেয়া মনিকে ডাকাডাকি করেন নাসিমা। কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে কেয়ার বাবাকে ফোন করে বাড়িতে ডেকে আনেন। পরে ঘরের দরজা ভেঙে দোতলায় আড়ার সঙ্গে ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে কেয়া মনিকে ঝুলতে দেখেন তারা। এ সময় ঝুলন্ত অবস্থা থেকে কেয়া মনিকে নিচে নামিয়ে আনেন নাসিমা। পরে পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। তবে কেয়া কী কারণে আত্মহত্যা করেছে সে বিষয়ে নির্দিষ্ট করে কিছু বলতে পারেছে না পুলিশ।
নাসিমা বেগম জানান, স্থানীয় খলিল মোল্লার ছেলে মিজান কয়েকদিন আগে রাস্তায় কেয়ার হাত ধরে টান দিয়েছিল। এ কারণে লজ্জায় সে আত্মহত্যা করে থাকতে পারে। রাজাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বলেন, রাতে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে। মৃত্যুর সঠিক কারণ জানতে আজ বুধবার সকালে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঝালকাঠি মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যুর মামলা রেকর্ড করা হয়েছে।