চলতি সপ্তাহের শেষে উত্তর-পূর্বাঞ্চলে এবং জুনের শেষে উত্তরাঞ্চলে বন্যা হতে পারে। ব্রহ্মপুত্র ও মেঘনা অববাহিকায় অতিভারী বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, জামালপুর, সুনামগঞ্জ, সিলেটের পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে বলে শঙ্কা করছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র। আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, এই সময়ে রংপুর, ময়মনসিংহ, সিলেটে অতিভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আরিফুজ্জামান ভুঁইয়া জানান, ১৮ জুন পর্যন্ত দেশের নানা এলাকায় বিক্ষিপ্ত তাপপ্রবাহ থাকলেও সিলেট-সুনামগঞ্জে বৃষ্টি হচ্ছে মুষল ধারে। অতিভারী বৃষ্টিতে এরই মধ্যে সুরমা নদীর কানাইঘাট পয়েন্টে পানি বইছে বিপৎসীমার ২১ সেন্টিমিটার উপরে। আবার উজানে মেঘালয়, আসামে ঢলে বাড়ছে সুরমা, কুশিয়ারা, যাদুকাটা, সারিগোয়াইন, বালুখালি, কংশ, সোমেশ্বরীর পানি।
আবহাওয়াবিদ শাহীনুল ইসলাম বলছেন, আগামী ২৪ জুন পর্যন্ত চেরাপুঞ্জি, আসাম, সিকিমে অতিভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। আবার রংপুর ময়মনসিংহ ও সিলেটে বজ্রসহ অতিভারী বৃষ্টির সতর্কতা দেওয়া হয়েছে। আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত এই পরিস্থিতি থাকবে।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আরিফুজ্জামান ভুঁইয়া জানান, টানা বৃষ্টিতে সীমান্তের ওপারে ভারতের আসাম রাজ্যে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। ব্রহ্মপুত্র অববাহিকায় কুড়িগ্রামে ধরলা ও গাইবান্ধার ঘাঘট নদীর পানি বিপৎসীমার কাছাকাছি চলে এসেছে। তবে তিস্তার পানি এখনও স্থিতিশীল থাকলেও শুক্রবার নাগাদ পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে। ব্রহ্মপুত্র, যমুনা, মেঘনা অববাহিকা ফুলে ফেপে উঠলেও পদ্মা অববাহিকা এখনও শান্ত রয়েছে।