‘বুড়ো’ নামের বিশাল ষাঁড়টি বিধবা মর্জিনা খাতুনের শেষ সম্বল। বিশাল আকৃতির ফ্রিজিয়ান জাতের ষাড়টির ওজন ৩৩ মণ। স্বামী হারা মর্জিনা খাতুন ঝিনাইদহ শৈলকুপা উপজেলার হড়োলা গ্রামের সনো মিয়ার স্ত্রী।
ঈদে বুড়োকে বিক্রি করে বিয়ে দিতে চান কলেজ পড়ুয়া দুই মেয়েকে। বড় গরু হওয়ায় আর হাটে নেওয়ার মতো পরিবারে কেউ না থাকায় বাড়িতে রেখেই বিক্রি করতে চান গরুটি। প্রতিদিনই বুড়োকে দেখতে বিভিন্ন এলাকা থেকে আসছে অনেকেই।
মর্জিনা জানান, শখ করে গরুটির নাম রেখেছে বুড়ো। ৩ বছর আগে নিজের গোয়ালের একটি গাভি জন্ম দেয় এই গরুটির। অভাবে থাকলেও ৩ বছর বয়সী বুড়োর যত্নের কোনো কমতি করছেন না মর্জিনা। খড়, ভুসি, খৈল ,ঘাস ও দেশীয় খাবার খাইয়ে বড় করে তোলা ফ্রিজিয়ান জাতের এই বুড়োর দাম হাঁকছেন ১৫ লাখ টাকা। তবে দাম নিয়ে রয়েছেন শঙ্কায়।
মর্জিনার দুই মেয়ে ও ছেলে। বড় মেয়ে পলি খাতুন এসএসসি পর্যন্ত লেখাপড়া করেছে। মেজো মেয়ে সাথী খাতুন অর্নাস শেষ করে করে বাড়িতে আছেন। ছোট ছেলে আশিক হোসেন অর্নাস প্রথমবর্ষে লেখাপড়া করছে।
মর্জিনা খাতুন মেয়ে সাথী খাতুন জানান, গত ৩ বছর ধরে অনেক কষ্ট করে গরুটি লালন পালন করছি। গরুটিকে দেশীয় খাবার দেওয়া হয়ে থাকে। ষাঁড়কে দিনে ৩ থেকে ৪ বার খাওয়ানো হয় এবং প্রতিদিন ৪ থেকে ৫ বার গোসল করানো হয়। আমাদের এই গরুর বর্তমান ওজন ১৩০০০ কেজি।
ঝিনাইদহ জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. মনোজিত কুমার জানান, শৈলকুপা উপজেলার হড়োলা গ্রামের বিধবা নারীকে ষাঁড় পালনে আমরা সার্বিকভাবে প্রশিক্ষণ দিয়েছে। পাশাপাশি গরুটিকে কি কি খাদ্য খাওয়াবে সেটির তালিকাসহ প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে দেওয়া হচ্ছে নানা পরামর্শ।