চারদিন পরেই কোরবানির ঈদ। ইতোমধ্যেই হাটে হাটে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন কোরবানি দাতাদের। ঈদের এই মৌসুমে পশুর হাট, আবাসিক, বাণিজ্যিক এলাকায় অপরাধীদের দৌরাত্ম্য বেড়ে যায়। এদের দমাতে চট্টগ্রামকে নিরাপত্তার চাঁদরে ঢাকতে এবারও কঠোর নজরদারি ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা ঢেলে সাজিয়েছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিট পুলিশ।
সিএমপির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ঈদ মৌসুমের অপরাধীদের ঠেকাতে সাদা পোশাকে এবং ভার্চুয়ালি নজরদারি বাড়ানোসহ নানা পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। প্রতিটি কোরবানি পশুর হাটের নিয়মিত নিরাপত্তায় থানার নিয়মিত মোবাইল টিমের পাশাপাশি আছে অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প, অস্থায়ী পুলিশ কন্ট্রোল রুম, জাল নোট সনাক্তকরণ বুথ, সাদা পোশাকে পুলিশি ব্যবস্থা, ওয়াচ টাওয়ার, মেডিকেল ক্যাম্প, মানি এস্কর্ট ও নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবক ব্যবস্থা। এছাড়াও নেওয়া হয়েছে পশুর হাট কেন্দ্রিক বিশেষ ব্যবস্থা। পশুবাহী ট্রাক জোরপূর্বক যেন কোন হাটে কেউ নিতে বাধ্য না করতে পারে, অনুমোদিত হাট ব্যতীত অন্য কোন স্থানে যাতে কেউ পশুর হাট না বসাতে পারে, কোথাও যেন কেউ অবৈধ খুঁটির ব্যবসা না করতে পারে, পশুবাহী খালি ট্রাক ফেরত যাওয়ার সময় যাত্রী পরিবহন না করে ইত্যাদি বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। নগরবাসীর সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে প্রতিটি ঈদ জামাত কেন্দ্রিক পৃথক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এদিকে ঈদের ছুটিতে আবাসিক এলাকাসমূহের নিরাপত্তায় বাড়তি সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
এদিকে কোরবানির পশুর চামড়া ক্রয়-বিক্রয় ও পরিবহন সংক্রান্তেও নেওয়ার কথা জানিয়েছে সিএমপি। চামড়া পাচার রোধকল্পে সংগৃহীত গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ, কোন এলাকায় যাতে সিন্ডিকেট তৈরি করে কোরবানির চামড়া ক্রয়-বিক্রয়ে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতে না পারে সেদিকে সতর্ক দৃষ্টি, চামড়া ক্রয়-বিক্রয় এবং পরিবহনে কেউ যাতে চাঁদাবাজি করতে না পারে সেদিকে লক্ষ্য রাখবে সিএমপির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তরা।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) স্পিনা রানী প্রামাণিক বলেন, নগরবাসীর নিরাপত্তায় সর্বাত্মক প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। একইসঙ্গে পশুর হাট, ঈদ জামাত ও ঈদের আগে-পরে এবং ঈদের ছুটিতে বিশেষ নজরদারি রাখা হচ্ছে। এছাড়া কোরবানির পশুর চামড়া নিয়ে কোনো প্রকার সিন্ডিকেট, চাঁদাবাজি, জোর জবরদস্তি না হয় সেজন্য পুলিশ কঠোর অবস্থানে থাকবে।