বাংলাদেশে আশ্রিত বিদেশি নাগরিক দেশের জন্য নিরাপত্তা সংকট বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, আশা করি শিগগিরই মিয়ানমার রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফিরিয়ে নেবে। প্রত্যাবাসনই রোহিঙ্গা সমস্যার টেকসই সমাধান।
মঙ্গলবার (১১ জুলাই) সকালে রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে পাবলিক হেলথ ডিপ্লোম্যাসি বিষয়ক সম্মেলনে যোগ দিয়ে এ কথা জানান তিনি।
এ সময় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংক্রান্ত পাঁচ দফা প্রস্তাব তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্বাস্থ্যঝুঁকি মোকাবিলায় পিছিয়ে থাকা দেশগুলোর সক্ষমতা আরও বাড়াতে হবে। এ জন্য নিবেদিত কূটনৈতিক তৎপরতার বিকল্প নেই। বাংলাদেশ পুরোভাগে থাকবে। আসুন, পুরো বিশ্ব একযোগে কাজ করি।
শেখ হাসিনা বলেন, গত সাড়ে ১৪ বছরে আমরা স্বাস্থ্যসেবা মানুষের দোরগোঁড়ায় পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করেছি। মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, বিশেষায়িত হাসপাতাল, ইন্সটিটিউট গড়ে তোলা হয়েছে। সাড়ে ১৪ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে তৃণমূলে স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া হচ্ছে। বিনামূল্যে ইনসুলিন দেওয়া প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
তিনি বলেন, স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়নে আমরা জাতীয় স্বাস্থ্যনীতি ২০১১ প্রণয়ন করেছি। এবার আমাদের লক্ষ্য দেশের জনগণের হাতে হেলথ আইডি কার্ড পৌঁছে দেওয়া। সে লক্ষ্যে সম্পূর্ণ স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে আমরা ডিজিটালাইজড করছি। দেশে প্রত্যেকের জন্য একটি হেলথ কার্ড হবে। এতে সবার স্বাস্থ্যের সব তথ্য থাকবে। অন্যান্য দেশেও এভাবে হেলথ কার্ড থাকে।
শেখ হাসিনা আরও বলেন, নির্বাচনে জনগণের কাছে দেওয়া প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী আমরা হাসপাতালগুলোতে শয্যা সংখ্যা বাড়িয়েছি। একইসঙ্গে চিকিৎসক, নার্স, টেকনোলোজিস্ট বৃদ্ধি করা হয়েছে। আমরা বিভিন্ন মেডিকেল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছি। হৃদরোগ ইনস্টিটিউট, কিডনি, গ্যাসট্রোলিভার, চক্ষু ইনস্টিটিউটসহ বিভিন্ন বিশেষায়িত হাসপাতাল তৈরি করেছি। আমরা শিশু মৃত্যুর হার উল্লেখযোগ্য হারে কমিয়ে এনেছি। কোভিডকালীন শিশুদের টিকা দেওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ছিল অন্যতম।