রংপুরে প্রতারনা মামলায় ৩০ লক্ষ টাকার প্রতারক ডঃ আকমল হোসেন কারাগারে

জাতীয় পুরষ্কারপ্রাপ্ত সারা দেশে দ্বিতীয় স্থান অধিকারি ২০১৭ ও রংপুর হ্যাচারীর প্রতিষ্ঠাতা ও প্রপাইটর তরুন উদ্দেক্তা জনাব মোঃ শাহিনুর ইসলাম রাজন বাদী হয়ে মিঠাপুকুর থানায় একটি প্রতারনা মামলা করেন। ঘটনা ক্রমে জানাযায়। মোঃ শাহিনুর ইসলাম রাজন (৩৯), একজন মৎস্য হ্যাচারী ব্যবসায়ী। তার প্রতিষ্ঠানের স্থান “খটখটিয়া” পরশুরাম থানা, রংপুর। বিবিন্ন অঞ্চলে তিনি বিভিন্য প্রজাতির রেনু পোনা ও চারা পোনা সরবারাহ করে এবং রেনু পোনা উৎপাদন করে দীর্ঘদিন যাবৎ ব্যবসা করেন। আসামী মোঃ আকমল হোসেন (৬৫) , পিতা-মৃত, আঃ লতিফ, সাং-নাছিরাবাদ (কিসামত রসুলপুর), থানা- মিঠাপুকুর, জেলা- রংপুর। আসামী একজন গলদা চিংড়ি মাছ ব্যবসায়ী হিসাবে নিজেকে পরিচয় দেন এবং নিজের যোগ্যতার কথা বলে । ব্যবসায়ীক সুবাদে তার সাথে ঘনিষ্ট সম্পর্ক গড়ে তোলে । আসামী বিভিন্ন সময় তার খামার “রংপুর হ্যাচারী” পরিদর্শন করেন এবং আসামী তার জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত হওয়ার বিষয় অবগত হইয়া ও বাদীর আয় উন্নতিতে মুগ্ধ হয়ে বাদীর সরলতার সুযোগ নিয়ে ৩০,০০,০০০/- (ত্রিশ লক্ষ) টাকা ঋণ হিসাবে চায়। বাদী প্রস্তাবে রাজী হয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে সাক্ষীগণের মোকবেলায় ১৮/০৪/২০২১ ইং তারিখে চুক্তিপত্র সাক্ষরিত করে। চুক্তিপত্রের শর্ত মোতাবেক আসামী শাহিনুর ইসলাম রাজনের নিকট হইতে নগদ ৩০,০০,০০০/- (ত্রিশ লক্ষ) টাকা তার নিজ বাড়ীতে গ্রহণ করেন এবং বাদির বরাবরে ৩০,০০,০০০/- (ত্রিশ লক্ষ) টাকার একটি চেক প্রদান করেন। যাহার চেক নং ইঝ২৫-ই-২২০১২০৮, হিসাব নম্বর-
০১৪১১০১২২৪৯৮০, তারিখ-১৯/০৬/২০২১ ইং, পূবালী ব্যাংক লিঃ ইউনিভারসিটি শাখা, ময়মনসিংহ। শর্ত মতে আসামী ১৯/০৬/২০২১ইং তারিখের মধ্যে সমূদয় ৩০,০০,০০০/- (ত্রিশ লক্ষ) টাকা শাহীনুর ইসলাম রাজনের বরাবরে পরিশোধ করিবেন মর্মে অঙ্গীকার করেন।

নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আসামী তাহার টাকা পরিশোধ না করিলে তিনি বিভিন্ন ভাবে পাওনা টাকার জন্য তলব তাগাদা দিলে আসামী ০১/০৯/২১ইং তারিখে চেকটি নগদানের জন্য ব্যাংকে জমা দেওয়ার কথা বলেন। আসামীর কথা মত শাহিনুর ইসলাম রাজন গত ০১/০৯/২১ ইং তারিখে চেকখানা পূবালী ব্যাংক, রংপুর শাখা, রংপুরে জমা প্রদান করলে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ “প্রদানকারী কর্তৃক পরিশোধ বদ্ধ হইয়াছে” মন্তব্য সহ চেকখানা ডিজ অনার করে ডিজ অনার স্লিপ শাহিনুর ইসলাম রাজনকে প্রদান করেন। চেকটি ডিজ অনার হওয়ার বিষয়টি তিনি আসামীকে অবগত করিলে আসামী ৩০,০০,০০০/- (ত্রিশ লক্ষ) টাকা নগদ পরিশেধের জন্য তাকে আকমল হোসেনের বর্ণিত ঠিকানায় ডাকেন। আকমল হোসেনের কথা মত ০৮/০৯/২১ইং তারিখে সকাল ১১.০০ ঘটিকায় সাক্ষী সহ আকমল হোসেনের বাড়িতে হাজির হইলে কথাবার্তার এক পর্যায়ে রাজন তার পাওনা ৩০,০০,০০০/- (ত্রিশ লক্ষ) টাকা দাবী করলে আকমল তার উপর ক্ষিপ্ত হইয়া উঠে এবং তার পাওনা টাকা ফেরত দিতে অস্বীকার করেন। এক পর্যায়ে শাহিনুর ইসলাম রাজনের উপর মারমুখি আক্রমণ করিয়া জীবন নাশের হুমকি দিয়া মিথ্যা মামলায় জড়ানোর ভয়ভীতি দেখান এবং তাদের কে তারিয়ে দেন।

সেই সময় জনাব শাহিনুর ইসলাম রাজন মিঠাপুকুর থানায় মৌখিক অভিযোগ করলে মিঠাপুকুর থানার অফিসার ইনচার্জ তদন্ত মোঃ জাকির হোসেন শাহিনুর ইসলাম রাজনকে তার সকল চুক্তি ও চেকের প্রমান সহ লিখিত অভিযোগের পরামর্শ দেন এবং শাহিনুর ইসলাম রাজন লিখিত অভিযোগ দিকে সেই থানার সাব ইন্সপেক্টর জনাব ইমরান হোসের ঘটনার সত্যতা পেলে গত ২০ -০৯-২১ তারিক ডঃ আকমল হোসেনের বিরুদ্ধে একটি প্রতারনা মামলা দায়ের হয়।

আদালতের আত্নসমর্পন করে জামিনে মুক্তি পেলে মামলার বাকি মোকাদ্দমা এবং তদন্ত চলতে থাকে এবং  তার বিরুদ্ধে সকল প্রমান প্রমানিত হওয়ায় গতকাল আদালতে উপস্থিত হলে তাকে গ্রেফতার কারাগারে পাঠানো হয়

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *