রংপুর জেলার মিঠাপুকুর থানাধীন কাফ্রিখাল গ্রামের চাঞ্চল্যকর ধর্ষণ মামলার যাবজ্জীন সাজাপ্রাপ্ত জামান এর পুত্র আসামী মোঃ শহিদুল ইসলাম (৩৬)’কে গ্রেফতার করে র্যাব-১৩, রংপুর। এলাকাবাসীর মাধ্যমে জানা যায় যে, আসামী মোঃ শহিদুল ইসলাম (৩৬) ঢাকা সদরঘাট এলাকার কাপড় ব্যবসায়ী মোঃ স্বপন সাহেবের বাসায় দারোয়ানের চাকুরী করা অবস্থায় একই বাসায় ভিকটিম’কে কাজের কথা বলে ১৪ অক্টোবর নিয়ে যায়। আসামী উক্ত বাসার সকলের অগোচরে ভিকটিম’কে বিবাহের প্রলোভন দেখিয়ে কু-প্রস্তাব দিতে থাকে। আসামীর কথায় ভিকটিম রাজি না হলে কৌশলে ভিকটিম’কে জোর পূর্বক একাধিকবার ধর্ষণ করলে ভিকটিম অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। বাসার মালিক বিষটি জানতে পারলে ভিকটিম ও আসামী মোঃ শহিদুল ইসলাম’কে বাসা থেকে বের করে দেয়। পরবর্তীতে ভিকটিমের পিতা বিষয়টি জানতে পারলে গর্ভবতী মেয়েকে বাড়ীতে নিয়ে এসে স্থানীয়ভাবে শালিসের মাধ্যমে আসামীর সাথে ভিকটিমের বিবাহের উদ্যোগ গ্রহণ করে। কিন্তু স্থানীয় কতিপয় কুচμী মহলের হস্তক্ষেপে শালিস ব্যর্থ হলে ভিকটিম নিজে বাদী হয়ে রংপুর জেলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে, ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন (সংশাধনী/০৩) আইনের ৯(১) ধারা মতে মামলা দায়ের করে। বিজ্ঞ আদালত কর্তৃক উক্ত মামলা আমলে নিয়ে আসামীর বিরুদ্ধে বিচার কার্য শেষে আসামীকে দোষী সাব্যস্ত করে গত দশ সালের ২৭ এপ্রিল রায়ে আসামীকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড এবং ১০ (দশ হাজার) টাকা জরিমানার আদেশ প্রদান করেন। আসামী মোঃ শহিদুল ইসলাম (৩৬) বিজ্ঞ আদালতের রায়ের পর থেকেই দীর্ঘ ১৩ বছর যাবৎ ঢাকা শহরের বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপন করে ছিল। এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব-১৩, ব্যাটালিয়ন সদর, রংপুর উক্ত চাঞ্চল্যকর ঘটনার বিষয়ে গোয়েন্দা নজরদারী শুরু করে। এক পর্যায়ে তথ্য উপাত্ত পর্যালোচনা করে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব-১৩, ব্যাটালিয়ন সদর, রংপুর মহানগরীর তাজহাট থানাধীন শেখপাড়া গ্রাম এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে চাঞ্চল্যকর ধর্ষণ মামলার আসামী মোঃ শহিদুল ইসলাম (৩৬), পিতা-মোঃ সৈয়দ জামান সাং-কাফ্রিখাল, থানা-মিঠাপুকুর, জেলা-রংপুর’কে গ্রেফতার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধৃত আসামী স্বীকার করে যে, ভিকটিম’কে একাধিকবার জোর পূর্বক ধর্ষণের ফলে গর্ভবতী হয়ে পড়ে। পরবর্তীতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে আসামীকে রংপুর জেলার মিঠাপুকুর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
র্যাব-১৩ রংপুরঃ মিঠাপুকুরের সাজাপ্রাপ্ত আসামী গ্রেফতার
