ঈদের দিন যত ঘনিয়ে আসছে ততই জিরা, কাঁচা মরিচ ও আদার বাজার ঝাল হয়ে উঠেছে। নিত্যপণ্যের মতো ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে যাচ্ছে এ তিনটি পণ্য।
অব্যাহত ভাবে দাম বাড়ার কারণে জিরার পরিমান বেশি নিলেও কাঁচা মরিচ ও আদা পোয়া পরিমাণ নিয়ে বাড়ি ফিরছেন মানুষ। উৎসবের আগে এ তিন জিনিসের দাম বাড়ার কারণে ক্ষোভেও ভাসছেন তারা।
নীলফামারী শহরের শাখামাছা(বড় বাজার) বাজার, নতুন বাজার, সাহেব বাজার, সৈয়দপুরের বাইপাস সড়কের পাইকারি বাজার, আধুনিক সবজি বাজার, ক্যান্ট বাজার ও রেলওয়ে গেট, ডিমলার বাবুরহাট বাজার, নাউতারা বাজার, ডোমারের কাঁচা বাজার ঘুরে দেখা গেছে জিরা বিক্রি হচ্ছে সাড়ে নয়শত টাকা থেকে এক হাজার টাকা কেজিতে। অথচ গত ঈদে এই জিরার দাম ছিল সাড়ে পাচঁশত টাকা থেকে ছয়শত ত্রিশ টাকা।
এদিকে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৩২০ টাকা। আর আদা এক লাফে বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৪০০ টাকা কেজিতে। এই দাম বাড়ার কারণে যারা এক কেজি বা হাফ কেজি নিতেন, এখন তারাও এক পোয়া করে নিয়ে বাড়ি ফিরছেন।
নীলফামারী শহরের শাখামাছা(বড় বাজার) বাজারে কথা হয় ক্রেতা পারভেজ উজ্জলের সঙ্গে।
তিনি বলেন, বাজারে এসে দেখি জিরা, কাঁচা মরিচ ও আদার বাজারে আগুন লেগেছে। দাম বাড়ার কারণে সামান্য কিছু আদা ও কাঁচা মরিচ কিনে বাড়ি ফিরে যাচ্ছি।
সৈয়দপুরের পাইকারি বাজারের আড়তদার আফতাব হোসেন জানান, কাঁচা মরিচ ও আদা বেশি দামে কেনা। তাই বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। খরা ও রোদ বৃষ্টির কারণে কাঁচা মরিচের গাছের ফুল ও ফল রক্ষা করা যাচ্ছে না। এ কারণে বাজারে সরবরাহ কমেছে। ফলে প্রতিদিনই দাম বাড়ছে কাঁচা মরিচ ও আদার।