বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেম বিভাগের শিক্ষক জনাব ওমর ফারুক আজ আনুমানিক সন্ধ্যা ছয়টায় রংপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে একটি সামাজিক কার্যক্রমের বিষয়ে সহযোগিতার জন্য যান। জেলা প্রশাসক ড. চিত্রলেখা নাজনীন সহায়তার আশ্বাস দেন এবং বিদায় মুহূর্তে শিক্ষক জনাব ওমর ফারুক জেলা প্রশাসক মহোদয়কে ‘আপা’ বলে সম্বোধন করেন। কিন্তু জেলা প্রশাসক মহোদয় ‘আপা’ সম্মোধনে নাখোশ হয়ে শিক্ষক জনাব ওমর ফারুককে জেলাপ্রশাসকের চেয়ারের প্রতি উপযুক্ত সম্মান প্রদর্শনের জন্য “স্যার” বলে সম্মোধন করতে বলেন। শিক্ষক জনাব ওমর ফারুকের বক্তব্য অনুযায়ী জেলা প্রশাসক মহোদয় তাঁকে স্যার বলতে বাধ্য করেন।
এমতাবস্থায় বেরোবি শিক্ষক জনাব ওমর ফারুক জেলা প্রশাসক কার্যালয় ত্যাগ করে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি আয়োজন করেন এবং বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকগণ সহ কিছু সংখ্যক ছাত্র কর্মসূচিতে উপস্থিত হন।
এমতাবস্থায় জেলা প্রশাসক মহোদয় উক্ত কর্মসূচিতে উপস্থিত হলে উভয়পক্ষেরই সামান্য তর্কের সৃষ্টি হয়। তবে ডিসি সৌহার্দপুর্নমুলক আচরনের মাদ্ধমে সম্মান প্রদর্শন করে তাদের সঙ্গে কথোপকথনের মাধ্যমে বিষয়টি মীমাংসা করেন এবং তার উক্তিটি ভুল হয়েছে বলে স্বীকার করেন এবং এ ধরণের ঘটনা পুনরাবৃত্তি হবে না বলে আশ্বাস দেয়ায় শিক্ষক এবং ছাত্রবৃন্দ অবস্থান কর্মসূচি সমাপ্তি ঘোষণা করেন।
আপরদিকে ডিসির এই অবস্থানের মীমাংসায় উচ্চমহলের কাছে তিনি প্রসংসিত হয়। তিনিই রংপুরের প্রথম নারী জেলা প্রশাসক। চিত্রলেখা নাজনীন ২২তম বিসিএস (প্রশাসন) ক্যাডারের অফিসার। তরুণ এই জেলা প্রশাসক রংপুরে যোগদানের পর থেকেই নানাবিধ ব্যতিক্রমী সময়োপযোগী পদক্ষেপ গ্রহণ করে প্রশংসিত হচ্ছেন সর্বমহলে এবং প্রান্তিক পর্যায়ের মানুষের কাছে।